Posts

রেডিও ওয়েব কি? (What is radio waves?)

রেডিও ওয়েভ কি? রেডিও ওয়েভ হলো ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক বিকিরণের (electromagnetic radiation) একটি ধরন। এটি এমন এক ধরনের অদৃশ্য তরঙ্গ যা বেতার সংকেত, টেলিভিশন, মোবাইল নেটওয়ার্ক, ওয়াইফাই, এবং রাডারসহ বিভিন্ন ধরনের যোগাযোগে ব্যবহৃত হয়। রেডিও ওয়েভের তরঙ্গদৈর্ঘ্য দীর্ঘ এবং ফ্রিকোয়েন্সি কম হওয়ায় এটি বায়ুমণ্ডলে দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে এবং বিল্ডিং বা পাহাড়ের মতো বাধা ভেদ করতে সক্ষম। রেডিও ওয়েভের বৈশিষ্ট্য: 1. তরঙ্গদৈর্ঘ্য: রেডিও ওয়েভের তরঙ্গদৈর্ঘ্য সাধারণত কয়েক মিটার থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত হতে পারে। 2. ফ্রিকোয়েন্সি: এর ফ্রিকোয়েন্সি ৩ হার্জ (Hz) থেকে শুরু করে ৩০ গিগাহার্জ (GHz) পর্যন্ত হতে পারে। 3. গতিসীমা: এটি আলোর গতিতে (৩ লাখ কিমি/সেকেন্ড) ভ্রমণ করে। --- রেডিও ওয়েভ কীভাবে কাজ করে? রেডিও ওয়েভের মাধ্যমে তথ্য প্রেরণ বা প্রাপ্তি মূলত মডুলেশন পদ্ধতির মাধ্যমে হয়। নিচে ধাপে ধাপে প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হলো: ১. তথ্য মডুলেশন: একটি অডিও বা ডাটা সংকেত রেডিও ওয়েভের সঙ্গে মিশ্রিত (modulate) করা হয়। মডুলেশন দুই ধরনের হতে পারে: এএম (Amplitude Modulation): এখানে তরঙ্গের উচ্চতা প...

বায়োমেট্রিক্স কী? What is Biometrics ?

বায়োমেট্রিক্স হলো এমন একটি প্রযুক্তি বা প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে মানুষের শারীরিক বা আচরণগত বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করে তাদের শনাক্ত করা যায়। এটি সাধারণত নিরাপত্তা ব্যবস্থায় পরিচয় যাচাই করার জন্য ব্যবহৃত হয়। বায়োমেট্রিক্সের বৈশিষ্ট্য বায়োমেট্রিক্সের মাধ্যমে মানুষের এমন বৈশিষ্ট্যগুলো পরিমাপ করা হয়, যা প্রতিটি ব্যক্তির ক্ষেত্রে একেবারে আলাদা। এটি প্রধানত দুই ভাগে বিভক্ত: 1. শারীরিক বৈশিষ্ট্য (Physiological Biometrics) ফিঙ্গারপ্রিন্ট (আঙুলের ছাপ) ফেসিয়াল রিকগনিশন (মুখের চেহারা) আইরিস বা রেটিনা স্ক্যান (চোখের নকশা) ডিএনএ (জেনেটিক তথ্য) পাম প্রিন্ট (হাতের তালুর ছাপ) 2. আচরণগত বৈশিষ্ট্য (Behavioral Biometrics) কণ্ঠস্বর (ভয়েস রিকগনিশন) টাইপ করার ধরন (Keystroke dynamics) হাঁটার ধরন (Gait analysis) সিগনেচার (হস্তাক্ষর) --- বায়োমেট্রিক্স কীভাবে কাজ করে? বায়োমেট্রিক্স সিস্টেম তিনটি ধাপে কাজ করে: 1. ডেটা ক্যাপচার: বায়োমেট্রিক ডিভাইস ব্যবহার করে ব্যবহারকারীর নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের তথ্য সংগ্রহ করা হয়। যেমন: ফিঙ্গারপ্রিন্ট স্ক্যানার বা ক্যামেরা। 2. ডেটা প্রক্রিয়াকরণ: সংগ্রহ করা ডেটা...

AI কি ? বা এআই কি?what is Artificial Intelligence ?

AI বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence) এমন একটি প্রযুক্তি যেখানে মেশিন বা কম্পিউটার সিস্টেমকে মানুষের মতো চিন্তা করতে, শিখতে এবং কাজ করতে সক্ষম করা হয়। এটি কম্পিউটার সায়েন্সের একটি শাখা এবং বর্তমানে প্রযুক্তি দুনিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি ক্ষেত্র। AI-এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য: 1. মেশিন লার্নিং (Machine Learning): মেশিন লার্নিং-এর মাধ্যমে AI সিস্টেম ডেটা বিশ্লেষণ করে শেখে এবং ভবিষ্যতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা অর্জন করে। উদাহরণ: চ্যাটবট, ইমেল স্প্যাম ফিল্টার। 2. ডীপ লার্নিং (Deep Learning): এটি মেশিন লার্নিং-এর একটি উন্নত শাখা যেখানে নিউরাল নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে জটিল সমস্যার সমাধান করা হয়। উদাহরণ: স্বয়ংচালিত গাড়ি (Self-driving cars)। 3. প্রাকৃতিক ভাষা প্রক্রিয়াকরণ (Natural Language Processing): এটি মানুষের ভাষা বুঝতে এবং সেই ভাষায় উত্তর দিতে সাহায্য করে। উদাহরণ: গুগল অ্যাসিস্ট্যান্ট, চ্যাটজিপিটি। 4. কম্পিউটার ভিশন (Computer Vision): ছবি বা ভিডিও বিশ্লেষণ করে বস্তুর চিহ্নিতকরণ বা প্রক্রিয়াকরণ করার প্রযুক্তি। উদাহরণ: ফেসিয়াল রিকগনিশন। 5. অটোনমাস সিস্টেম (...

কম্পিউটারে কেন বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করা হয় ?

Image
কম্পিউটারে কেনো বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়? (Why is binary number used in a computer?) কম্পিউটার একটি ইলেক্ট্রনিক যন্ত্র। কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করার মূল কারণ হচ্ছে কম্পিউটারের অভ্যন্তরীণ কার্যাবলি সংখ্যা নির্ভর। ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসগুলো মূলত সুইচ অন বা অফ এ দুই মোড়কে কাজে লাগিয়ে সহজে কাজ করতে পারে বিধায় ডিজিটাল সার্কিটে বাইনারি সংখ্যার ব্যবহার দেখা যায়। বাইনারি পদ্ধতিতে দু'টি প্রতীকের ব্যবহার করার জন্য বিদ্যুতের উপস্থিতি বা অনুপস্থিতি কিংবা হাই-লো অবস্থার দ্বারা সহজেই কাজ করা যায়। বাইনারি সংখ্যার প্রতীক মাত্র দু'টি হওয়ায় এবং বাইনারি এ্যালজেবরা বা বুলিয়ান এ্যালজেবরার দ্বারা সকল দশমিক সংখ্যার গাণিতিক কাজকর্ম করা সম্ভব বিধায় কম্পিউটারে বাইনারি সংখ্যা ব্যবহার করা হয়। বাইনারি সংখ্যা পদ্ধতির সুবিধা ১. এই পদ্ধতির দুটি বিট (০ এবং ১) কে ইলেকট্রনিক যন্ত্রে সহজে সিগন্যাল আকারে ব্যবহার করা যায়। ২. কম্পিউটারে বাইনারি বিট (০ এবং ১) কে ইলেকট্রনিক সিগন্যালের সাহায্যে বিদ্যুতের অনুপস্থিতি এবং বিদ্যুতের উপস্থিতি দ্বারা প্রকাশ করা যায়। ৩. ইলেকট্রনিক...

রোবটিক্স (Robotics)বিস্তারিত আলোচনা।

রোবোটিক্স (Robotics) রোবোটিক্স হলো প্রযুক্তির একটি শাখা যেটি রোবটসমূহের ডিজাইন, নির্মাণ, কার্যক্রম ও প্রয়োগ নিয়ে কাজ করে। পাশাপাশি এটি রোবটসমূহের নিয়ন্ত্রণ, সেন্সরি ফিডব্যাক এবং তথ্য প্রক্রিয়াকরণের জন্য কম্পিউটার সিস্টেমগুলোর জন্যও কাজ করে। এসব প্রযুক্তি অটোমেটেড মেশিনগুলোর সাথে কাজ করে যা বিপজ্জনক পরিবেশ বা উৎপাদন প্রক্রিয়াসমূহে মানুষের স্থান দখল করে কিংবা মানুষের উপস্থিতি, আচরণ ইত্যাদির সাথে মিল থাকে। আজকের দিনের অধিকাংশ রোবটই 'বায়ো-ইন্সপায়ার্ড রোবোটিক্স' ক্ষেত্রটির দ্বারা উৎসাহিত হয়ে তৈরি। সহজভাবে বলতে গেলে রোবোটিক্স এর সাধারণ বিষয়গুলো হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মনোবিদ্যা। এ প্রযুক্তিটি কম্পিউটার বুদ্ধিমত্তা সংবলিত এবং কম্পিউটার নিয়ন্ত্রিত রোবট মেশিন তৈরি করে যেগুলো আকৃতিগত দিক থেকে অনেকটাই মানুষের মতো হয় এবং অনেকটা মানুষের মতোই দৈহিক ক্ষমতাসম্পন্ন থাকে। এ ক্ষেত্রটিতে তাই রোবটকে যেসব বৈশিষ্ট্য দেয়ার চেষ্টা করা হয় সেগুলো হলো ঃ ১. দৃষ্টিশক্তি বা ভিজ্যুয়াল পারসেপশন (Visual Perception) ২. স্পর্শ বা স্পর্শ ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য সক্ষমতা (Tactile Capa...

ওয়েব সাইট কত প্রকার ? ( website)

ওয়েব সাইট দুই প্রকার। যথাঃ ১। স্ট্যাটিক ওয়েব সাইট ২। ডাইনামিক ওয়েব সাইট

টপোলজি কি?

কম্পিউটারসমূহের সংযুক্তির মানচিত্রকে টপোলজি বলে।